স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের কোন সুযোগই নেই। যারা প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ায় তারা পরীক্ষার্থীদের শত্রু। মেধাবী শিক্ষার্থীরাই তাদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে এবং ভবিষ্যতে ডাক্তার হিসেবে ভূমিকা রাখবে।
শুক্রবার চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষের (২০১৭-২০১৮) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। কেন্দ্রে গেলেও পরীক্ষার্থীদের মনোযোগে ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য কক্ষে প্রবেশ করেননি। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণার আশা প্রকাশ করেছেন এমবিবিএস ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশীদ। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর তিনি এ আশা প্রকাশ করেন। অপরদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশ কয়েকজন যুবককে আটক করেছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের বরাদ দিয়ে জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. আবদুর রশীদ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীসহ সারা দেশের ২০টি কেন্দ্র অভিন্ন প্রশ্নপত্রে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয়বার ভর্তিচ্ছুদের পাঁচ নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত আদালত বহাল রেখেছেন। এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ৮২ হাজার ৭৮৮ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। দেশে সরকারি ৩১টি মেডিকেল কলেজের মোট আসন সংখ্যা ৩ হাজার ৩১৮টি। অর্থাৎ প্রতি আসনের বিপরীতে ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে ২৪ জনের বেশি। অন্যদিকে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রতি আসনে বিপরীতে আটজনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।