জামালপুরে পুত্রকে অপহরণ করে গুমের অভিযোগে পুত্রবধূর দায়ের করা মামলায় প্রকৌশলী এম এ মান্নান নামের একজন প্রকৌশল ব্যবসায়ীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। জামালপুর সদর থানার পুলিশ রোববার বিকেলে শহরের সাহাপুর এলাকায় তার মালিকানাধীন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এস কে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রধান কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে তার পুত্র আবুল হাসেমকে অপহরণের পর গুম করার অভিযোগে সদর থানায় একটি মামলা রয়েছে।
ওই মামলায় গ্রেপ্তার অন্য তিনজন আসামিকে সোমবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এদিকে গ্রেপ্তার প্রকৌশলী এম এ মান্নান রোববার রাতে সদর থানা হেফাজতে থাকা অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতেই তাকে পুলিশ হেফাজতে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে তার স্বজন ও বিপুল সংখ্যক উৎসুক লোক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভিড় করেন। রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
জানা গেছে, প্রকৌশলী এম এ মান্নানের ছেলে আবুল হাসেম ২০১৪ সালের ৫ এপ্রিল প্রেমের সম্পর্ক করে শহরের দেওয়ানপাড়ার সাবিহা বেগম সেতু নামের এক মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর এম এ মান্নান ছেলের এ ঘটনা মেনে নিতে পারেননি। এক পর্যায়ে এম এ মান্নান নিজে বাদী হয়ে সাবিহা বেগম সেতুর বাবা মো. সোহরাওয়ার্দী ও তার মা মমতাজ বেগমসহ পরিবাররের আরও কয়েকজনকে আসামি করে জামালপুর, চট্টগ্রাম ও শেরপুরের আদালতে মামমলা দায়ের করেন।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল পিতা এম এ মান্নানের জিম্মায় পুত্র আবুল হাসেম জামালপুর আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। জামিনে মুক্তি পাওয়ার দিন থেকে আবুল হাসেম নিখোঁজ রয়েছেন। এদিকে স্বামীর সন্ধান পেতে সাবিহা বেগম সেতু রোববার সকালে তার শ্বশুর প্রকৌশলী এম এ মান্নানসহ ১২ জনকে আসামি করে তার স্বামী আবুল হাসেমকে অপহরণ ও গুম করার অভিযোগে জামালপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সাবিহা বেগম সেতুর মামলার প্রেক্ষিতে সদর থানার পুলিশ রোববার বিকেলে শহরের সাহাপুরে এস কে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে প্রকৌশলী এম এ মান্নান ও তার ব্যবস্থাপক শ্যামল দাস, কর্মচারী রাজু আহম্মেদ ও টিপু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নাছিমুল ইসলাম সোমবার জনকণ্ঠকে বলেন, গ্রেপ্তার প্রকৌশলী এম এ মান্নান থানা হেফাজতে থাকা অবস্থায় রোববার রাত পৌনে নয়টার দিকে স্ট্রোক করেন। তাকে সাথে সাথে পুলিশ হেফাজতে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। পরে তাকে রাতেই পুলিশ হেফাজতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার অন্য তিনজন আসামিকে সোমবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছ