মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণে নতুন একটা যুগের সূচনা হয়েছে গত দুই বছরে। যে আক্রমণে অন্যতম দুই ভরসা মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে এই দক্ষিণ আফ্রিকা সফর—দুজনই হতাশ করেছেন। মোস্তাফিজ তো সফর অসমাপ্ত রেখেই দেশে ফিরেছেন। তাসকিন এখনো পাননি বলার মতো সাফল্য।
মোস্তাফিজ-তাসকিনের এই ছন্দ হারিয়ে ফেলাটা ভাবাচ্ছে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানকেও। শুক্রবার গুলশানে নিজ বাসভবনে সংবাদমাধ্যমের সামনে নাজমুল বাংলাদেশ পেস বোলারদের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ এভাবে করলেন, ‘রুবেল আগের মতোই বোলিং করছে। মাশরাফিও আগের মতোই আছে। সমস্যা হচ্ছে দুটো বোলারকে নিয়ে। গত চার বছরে এই দুই বোলারই কিন্তু আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছে।’
মোস্তাফিজ-তাসকিন কেন ছন্দ হারিয়ে ফেলেছেন, সেটিও জানা বিসিবি সভাপতির, ‘শুরু থেকে দেখেছি, তাসকিন জোরে বোলিং করে। হঠাৎ করে তার লাইন-লেংথ একদমই খারাপ হয়ে গেছে। শুধু এই সিরিজে নয়, আগে থেকেই এটা হচ্ছে। গতিটাও আগের চেয়ে কমে গেছে! ওর একটা সমস্যা হয়েছে। কী সমস্যা, সেটা দেশে ফেরার পর দেখা হবে। আরেকজন বোলার হচ্ছে মোস্তাফিজ। সন্দেহ নেই, সে আমাদের সেরা পেসার। ওর বোলিং কিন্তু খারাপ হচ্ছে না। তবে কাটার আর আগের মতো হচ্ছে না। লাইন-লেংথ-গতি ঠিক আছে। আমাদের বলা হয়েছিল (অস্ত্রোপচারের পর) আগের অবস্থায় আসতে ওর এক বছর লাগবে। মোস্তাফিজকে নিয়ে আমাদের চিন্তা নেই। আশা করি, শিগগির সে ফিরে আসবে।’
দুই বোলারের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও নাজমুলের তৃপ্তি অন্যখানে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশ যেভাবে লড়েছে, তাতে খুশি বিসিবি–প্রধান, ‘যে বাংলাদেশকে দেখে আসছি, সেই দলের সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছিলাম না। দলের মনোভাব কেমন যেন লাগছিল। এই ম্যাচের আগে ওদের বললাম যে বাংলাদেশকে চিনি, সেভাবে খেল। এত বড় ব্যবধানে হারছি, সেটা বড় ব্যাপার নয়। তবে খেলার আগেই মনে হচ্ছে, খেলাটা ছেড়ে দিচ্ছি। আমরা যে প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ করতে পারি, সেটা দেখা যাচ্ছে না। বলেছি, ওদের প্রতিমুহূর্তে চ্যালেঞ্জ ছোড়াটা দেখতে চাই। এতে করে কাল খেলাটা ভালো হয়েছে। খেলা শেষে সাকিবকে এসএমএস পাঠাই, ‘‘ওয়েল প্লেইড’’। পরে ওর সঙ্গে কথা হলে বলল, আপনি ‘‘ওয়েল প্লেইড’’ বললেন, কিন্তু আমরা তো জিততে পারেনি!’