১৯ নভেম্বর কয়েক ঘণ্টার জন্য চাঁদ এবং সূর্যের মাঝামাঝি থাকবে পৃথিবী। এতে সূর্যের আলোর প্রভাবে পৃথিবীর ছায়া পড়বে চন্দ্রপৃষ্ঠে। সে ছায়ায় চাঁদের প্রায় পুরোটা ঢাকা পড়বে।
নাসার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় বেলা আড়াইটার দিকে চাঁদের দৃশ্যমান অংশের ৯৭ শতাংশ সূর্যের আলো থেকে বঞ্চিত হবে। শতভাগ ঢাকা না পড়ায় এটাকে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ বলা হচ্ছে। সে সময় লালচে রং ধারণ করবে চাঁদ। যা বাংলাদেশ থেকেও দেখা যাবে ।
আগামী সপ্তাহের মধ্যেই চলতি শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ দেখার সুযোগ হবে পৃথিবীবাসীর। তবে সব অঞ্চল থেকে নয়।
চাঁদের অবস্থান দিগন্তরেখার ওপরে থাকলেই কেবল চন্দ্রগ্রহণ দেখা সম্ভব। সে দিক থেকে এবারের গ্রহণের পুরোটা সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে উত্তর আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া, পূর্ব এশিয়া, উত্তর ইউরোপ অঞ্চলে ও দৃশ্যমান হবে এবারের গ্রহণ।বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চল থেকে ১৯ নভেম্বর চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। আর মূল গ্রহণের মতো অতটা চমকপ্রদও নয়। ঢাকাবাসী ১৯ নভেম্বর বিকেল ৫টা ১৩ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৩ মিনিট পর্যন্ত চাঁদে নজর রাখতে পারেন। সারা দেশ থেকেও এই সময়ের আশপাশেই দেখা যাওয়ার কথা।
গত ২৬ মে ছিল বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ। আগামী ১৯ নভেম্বর হবে বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ। তবে এটা পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ নয়, আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। চন্দ্রগ্রহণ থাকবে সব মিলিয়ে ৩ ঘণ্টা ২৮ মিনিট ২৩ সেকেন্ড। যা ২০০১ থেকে ২১০০ সালের মধ্যে হতে যাওয়া সব চন্দ্রগ্রহণের মধ্যে দীর্ঘতম।