তিন দিনের সফরে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় আসছেন ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। দুপুর সোয়া ২টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে তিনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবেন।
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের আমন্ত্রণে তিনি এ সফরে আসছেন।
সফরে তাঁর সঙ্গে থাকছেন ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক বিষয়ক বিভাগের সচিব সুভাষ চন্দ্র গর্গ ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ভারতীয় শিল্প ও বণিক সমিতির (এফআইসিসিআই) ৩০ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল।
জানা গেছে, গত এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে বাংলাদেশের জন্য সাড়ে ৪শ’ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণরেখা ঘোষণা করা হয়। আগামীকাল বুধবার ভারত ও বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে তৃতীয় এ ঋণরেখা বাস্তবায়নের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এর ফলে গত ৬ বছরে বাংলাদেশকে দেয়া ভারতের মোট ঋণরেখা ৮শ’ কোটি ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে। চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হবে।
এছাড়া দুই মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিনিয়োগ বাড়াতে ও সুরক্ষার জন্য ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তির ওপর যৌথ ব্যাখ্যামূলক নোট স্বাক্ষর হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ভারতের অর্থমন্ত্রী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা সফর করবেন। এ সময় তার সঙ্গে ভারত সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক বিষয়ক বিভাগের সচিব সুভাষ চন্দ্র গর্গ ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ভারতীয় শিল্প ও বণিক সমিতির (এফআইসিসিআই) ৩০ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল থাকছে।
ভারতীয় হাইকমিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩-৫ অক্টোবর সফরকালে ভারতের অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন।
সেখানে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই অর্থমন্ত্রী ২০১৫ সালের জুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর এবং ২০১৭ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে গৃহীত অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়ন অংশীদারিত্ব উদ্যোগগুলোর অবস্থা পর্যালোচনা করবেন।
জানা গেছে, অরুণ জেটলি পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট (পিআরআই) ও ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে ‘ভারত সরকারের ম্যাক্রোইকোনমিক ইনিশিয়েটিভ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন।
ভারতের অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে যুগ্মভাবে ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ক্যাশলেস ভিসা সার্ভিস পরিচালনার একটি নুতন স্কিম সেবা উদ্বোধন করবেন।
দুই মন্ত্রীর এক্সিম ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ঢাকা কার্যালয়ও উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।