২০ বছরের কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ভারতের কথিত ধর্মগুরু রাম রহিম সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। প্রতিদিনই তার সম্পর্কে শোনা যাচ্ছে অজানা অনেক তথ্য। এবার চমকপ্রদ তথ্য মিলল এই ধর্ষকগুরুর বিরুদ্ধে। দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের দায়ে ২০ বছরের কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ভারতের কথিত ধর্ষকগুরু দুই হাজার নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলে ইন্ডিয়া টিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ইন্ডিয়া টিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, হরিয়ানায় সিরসার ডেরার এক সাধ্বী ইন্ডিয়া টিভি অনলাইনের এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন দুই হাজার নারীকে ধর্ষণ করেছে রাম রহিম। ওই সাধ্বী রাম রহিমের ডেরায় প্রায় ৩০ বছর ছিলেন বলেও জানান। তবে ওই নারীর পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।
সাক্ষাৎকারে ওই সাধ্বী আরও দাবি করেছেন, প্রতিদিন পাঁচ-ছয় ঘণ্টা পরপরই একজন নতুন মেয়েকে রাম রহিম তার ডেরায় ডেকে পাঠাতেন। এছাড়া এই ‘ভণ্ড বাবা’ ডেরায় থাকা কমপক্ষে দুই হাজার নারীকে ধর্ষণ করেছেন।
ওই সাধ্বীর দাবি, রাম রহিমের এই অপকর্মের কথা অনেক মেয়েই তাদের মা-বাবাকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু রাম রহিমের ওপর অগাধ বিশ্বাসের কারণে নিজের মেয়েদের কথা বিশ্বাস করতেন না মা-বাবারা।
সাধ্বীর দাবি, রাম রহিমের বিলাসবহুল ডেরার ভেতর গোপন গুহা বা যৌন গুহা ছিল। সেই গুহার খোলা জানালা দিয়ে ডেরার মেয়েদের দেখে দেখে পছন্দ করতেন তিনি। তারপর পছন্দের মেয়েকে নিয়ে ধর্ষণ করতেন তিনি।
গত ২৫ আগস্ট দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের অভিযোগে করা দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় রাম রহিমকে। এরপর নেয়া হয় রোহতক শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের সানোরিয়া কারাগারে। এতে রাম রহিমের সমর্থকেরা পঞ্চকুলা এলাকায় তাণ্ডব শুরু করেন। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৩১ জন নিহত ও ২৫০ জন আহত হন। পরে গত ২৮ আগস্ট রাম রহিমকে দুটি মামলায় ১০ বছর করে ২০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন সিবিআই আদালত।