কক্সবাজারে টেকনাফের নাফ নদীতে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার সময় রোহিঙ্গা বোঝাই আরও একটি নৌকা ডুবে গেছে। এ ঘটনায় শিশুসহ ১৩ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করলে এখনও ৩৩ নিখোঁজ রয়েছেন। গতকাল রোববার সাড়ে ৯টার দিকে শাহপরীর দ্বীপে নাফ নদীর গোলারচর পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতদের মধ্যে ১০ শিশু, ২ নারী ও একজন পুরুষ রয়েছে।
জীবিত উদ্ধার হওয়া এক রোহিঙ্গা বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে প্রায় ৬০ জন নৌকায় করে টেকনাফে আসছিলেন। নাফ নদীর ঘোটার চলে তাদের নৌকাটি হঠাৎ ডুবে যায়। তাদের চিৎকারে বিজিবির টহল দল বিষয়টি জানতে পেরে উদ্ধার অভিযানে নামে। শাহপরিরদ্বীপ বিওপির বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার আ. জলিল জানান, উদ্ধার করা রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন নৌকাটিতে কমপক্ষে ৬০জন যাত্রী ছিল। রোববার সাড়ে ৯টার দিকে গোলারচর পয়েন্টে মিয়ানমার দিক থেকে আসা রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাটি ভাটার সময় দমকা হাওয়ার কারণে উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। ঘটনার পর দুই শিশুসহ ১৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে কমপক্ষে ৩৩ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা কাজ করছে বলেও জানান তিনি। টেকনাফ থানার ওসি মো. মাইন উদ্দিন খান জানান, নৌকাডুবির ঘটনায় শিশুসহ ১৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও অনেক নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধার অভিযান চলছে। এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর টেকনাফের পাশের উপজেলা উখিয়ার ইনানী সৈকতের কাছে সাগরে রোহিঙ্গাবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় ২০ জন মারা যান।