নিউজিল্যান্ডে বিদেশিদের বাড়ি কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে যাচ্ছে। দেশটিতে বেশ কিছুদিন ধরেই সম্পত্তির মূল্য বেড়ে যাওয়ায়, তা সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নিলেন নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন।
গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়ী হন জাসিন্ডা আরডার্ন। ১৫০ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনো নারী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডে। লেবার পার্টির নেতৃত্বে মধ্য বামপন্থী এই সরকার গঠিত হচ্ছে।
নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র অনাবাসিক ব্যক্তিদের জন্য। দেশটিতে বর্তমানে আবাসিক সংকট দেখা দিয়েছে। যার ফলে বাড়ির দাম অনেকের নাগালের বাইরে চলে গেছে। মূলত কম সুদের হার, অপ্রতুল হাউজিং স্টক ও অভিভাষণ বেড়ে যাওয়ায় আবাসনের দাম বেড়েছে দেশটিতে।
বলা হচ্ছে, এই বিদেশি মালিকানাধীন ও অপ্রতুল হাউজিংয়ের প্রতিফলনই দেখা গেছে সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে। এ ব্যর্থতার কারণেই নয় বছরের শাসন থেকে ছিটকে পড়েছে কনজারভেটিভ ন্যাশনাল পার্টি। গত মঙ্গলবার জাসিন্ডা আরডার্ন বলেন, যেসব সম্পত্তি এখনো অবিকৃত আছে সেগুলো ক্রয়ে বিদেশিদের ওপর আমরা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি। এ ছাড়া অভিভাষণ কমিয়ে কর্মসংস্থান বাড়ানোর দিকে জোর দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
নির্বাচনে আগেই পুঁজিবাদকে ‘নিন্দনীয় ব্যর্থতা’ বলে উল্লেখ করেছিলেন জাসিন্ডা আরডার্ন। তিনি বলেন, দরিদ্রদের জন্য আবাসন সরবরাহ করার সময় এখন এসেছে।
সম্প্রতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাইট ফ্রাঙ্কের এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত এক বছরে নিউজিল্যান্ডে আবাসনের দাম বেড়েছে ১০ দশমিক ৪ শতাংশ। রাজধানী ওয়েলিংটনে গত বছরের জুন থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত আবাসনের দাম বেড়েছে ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। অকল্যান্ডে বাড়ির গড় দাম ৮ লাখ ৪৫ হাজার ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।