বিএনপি নেতাদের নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ আটকে দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি তো ত্রাণ দিতে যায় না, তারা যায় কয়েকটা নিউজ আর ছবির জন্য যায়। কয়েকটা ট্রাক নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে ত্রাণ ছিল কিনা কে জানে? তবে অনেক কিছু থাকলেও থাকতে পারে। এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই।
শুক্রবার সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দুর্যোগ ও ত্রান উপ-কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
শৃঙ্খলা না মানায় বিএনপি বাঁধার সম্মুখীন হয়েছে ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, একটা নিয়ম আছে, কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে কমিটির মাধ্যমে সবাই ত্রাণ বিতরণ করছে। বিএনপি তাদের মাধ্যমে ত্রাণ দিতে গেলে, তাদের (বিএনপির) নেতারা শরণার্থী শিবিরে পৌছার আগেই ত্রাণ পৌছে যেত।
কাদের আরো বলেন, এটা মানবিক সাহায্যের বিষয়, এখানে আমরা রাজনীতি করবো কেন? লাখ লাখ মানুষ, তাদের খাদ্য দিতে হবে, তাদের থাকার জায়গা দিতে হবে, তাদের সেনিটেশন, বিরাট একটা চ্যালেঞ্জ, এটা আমরা একা মোকাবেলা করবো এটা তো কখনো ভাবি নি। এটাতে আমরা কেন বাধা দিব, এই অমানবিক ব্যবহার আমরা কেন করবো। কিন্তু বিএনপি সেখানে রাজনীতি নিয়ে গেছে। না হলে নিয়ম মানবে না কেন?
রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিতে গেলে নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়টাও দেখা প্রয়োজন জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা কি ভাবতে পেরেছেন ওখানে কি ভয়াবহ অবস্থা? সেখানে সব না খাওয়া মানুষ। প্রতিনিয়ত স্রোতের মত মানুষ আসছে। সেখানে যারা নিয়মের বাইরে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে যাবে তাদের জীবন সংকটের মধ্যে পরতে পারে।
তিনি বলেন, আমি সেখানে কয়েকবার গিয়েছি, ওখানের বাস্তবতা অনেক কঠিন। ঢাকায় বসে বাস্তবতা উপলব্ধি করা যায় না। শৃঙ্খলা না রাখলে সব লুটপাট হয়ে যেতো। যারা ত্রাণ বিতরণ করতে যেতো, তারাও নাজেহাল হতেন। বিএনপি নেতাদের তো সিকিউরিটির ব্যপার আছে। সেখানে কিছু ট্রাক নিয়ে গেলে কি অবস্থা হবে, ওখানকার না খাওয়া মানুষগুলো যদি জানে যে এই ট্রাকে খাদ্য আছে?
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার নামে চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের সাহায্যের জন্য চাঁদাবাজির মহোৎসব যেন না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। এক্ষেত্রে চাঁদাবাজি বা জোর-জবরদস্তি সহ্য করা হবে না। এটি তো মানবিক ব্যাপার, যারা স্বেচ্ছায় সাহায্য করবে সেটি আমরা গ্রহণ করবো।
দলের দুর্যোগ ও ত্রাণ উপ কমিটি আগামী শীতকে সামনে রেখে ২০ হাজার কম্বল রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিতরণ করবে বলেও জানান কাদের।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশীদ,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি।
15/09/2017