বিএনপি না এলেও নির্বাচন থেমে থাকবে না মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, শেখ হাসিনার
সরকারই সহায়ক সরকার। এর কোনো বিকল্প নেই। আপনারা (বিএনপি) নির্বাচনে না এলেও, নির্বাচন থেমে থাকবে না।
আজ বুধবার দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের তিনি একথা
বলেন।
এ সময় রোহিঙ্গাদের সাথে মিয়ানমারের আচরণকে অমানবিক উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মানবিক
দিক থেকে বিষয়টি দেখছি। কিন্তু আমাদের সক্ষমতারও একটা সীমাবদ্ধতা আছে। এই লোড (বোঝা) বহন করা আমাদের
পক্ষে সম্ভব নয়। এ নিয়ে বিশ্বকে এগিয়ে আসা উচিত। সব দেশ যদি রোহিঙ্গাদের ভাগাভাগি করে নেয়, তাহলে
বাংলাদেশের ওপর চাপ কমবে।’
রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, মিয়ানমারে অমানবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সু
চি শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু এটাই কি তার শান্তির নমুনা?
মালদ্বীপ মিয়ানমারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে, বাংলাদেশ কেন করেনি জানতে চাইলে তোফায়েল আহমেদ বলেন,
‘তারা ছোট দেশ। তারা পেরেছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া চাট্টিখানি কথা নয়।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘অন্য সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আশা ত্যাগ করেন।
এই সরকারের অধীনেই নির্বাচন করতে হবে। বর্তমান সরকারই সহায়ক সরকার হবে। অন্য কোনো সরকার আসার সুযোগ
নাই। ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে যেকোনো দিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে সরকার
নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা তো ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ
নেননি। বরং প্রিজাইডিং অফিসার হত্যা করেছেন। আগুন দিয়ে ভোটকেন্দ্র পুড়ে দিয়েছেন। এক বছরে ৯৩ দিন হরতাল
করে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেয়ার চেষ্টা করেছেন।’
আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে
আপনারা ভুল করেছেন। আগামীতে আর এই ভুল করবেন না।
চামড়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চামড়ার যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে।
লবণ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এবার লবণের কোনো ঘাটতি নেই। এটি নিয়ে কেউ লেখালেখিও করেননি।
সুতরাং চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার জন্য লবণের কোনো ঘাটতি নেই।