প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এসকে সিনহা) এক মাসের ছুটি নেয়ার বিষয়টা অস্বাভাবিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির বিষয়ে আইনমন্ত্রী সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। এখানে বারবার কথা বলার প্রয়োজন নেই। মানুষ অসুস্থ হয়, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। আমাদের সংবিধানের কারও অসুস্থতায় কি ব্যবস্থা নিতে হবে, তা ৯৭ ধারায় পথরেখা করে দিয়েছে। কাজেই সেভাবেই হবে। এখানে অস্বাভাবিক কিছু নেই। এটা আন্দোলনের বিষয় নয়, আইনগত বিষয়।
মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির কার্যালয়ে দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর সঙ্গে এক যৌথ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। আগামী ৭ অক্টোবর জাতিসংঘ সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আসলে তাকে নাগরিক গণসংবর্ধনা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় এবং তা সফল ভাবে অনুষ্ঠানের বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভা শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৭ অক্টোবর লন্ডন হয়ে সিলেট বিমানবন্দর দিয়ে সকাল সাড়ে দশটায় বাংলাদেশ বিমানে ঢাকায় পৌঁছাবেন। তিনি এবারো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় বক্তব্য দিয়েছেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশে শরণার্থী প্রবেশে প্রথম ধাপে বাধা দেয়, আর বাংলাদেশের অসম সাহসী বঙ্গবন্ধু কন্যা রোহিঙ্গা প্রবেশে সীমান্ত খুলে দিয়েছে।
কাদের বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ অধিবেশনে বিশ্বের প্রশংসা পেয়েছেন। সারা দুনিয়া তার (শেখ হাসিনার) এই সাহসী সিদ্ধান্ত এবং উদারতার প্রশংসা করেছে। এটা বাঙালি জাতির গর্বের বিষয়। আর এই জন্যই বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে ফিরলে আমরা সেই দিন তাকে নাগরিক গণসংবর্ধনা দেব। আমরা যদি তাকে স্বাগত না জানাই, সেটা আমাদের বিবেককে কষ্ট দেবে, অনুভূতিতে আঘাত হবে। ঢাকাবাসী তাকে সংবর্ধনা দিতে রাস্তায় দাঁড়াবেন এটাই আমরা আশা করি।
কোন ধরনের জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে এই সংবর্ধনা দেওয়া হবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরাও তাকে (প্রধানমন্ত্রীকে) সংবর্ধনা জানাতে বিমানবন্দরে যাবেন। দেশের সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীরা গণভবন থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে নেত্রীকে শুভেচ্ছা, অভিবাদন জানাবেন।
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, লন্ডনে বসে বেগম জিয়া ও ছেলে তারেক রহমান কী ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন, তা জাতি জানতে চায়। এর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তদন্তে সাহায্য করার জন্য স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড, এমআই সিক্সসহ বৃটিশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে আমরা অনুরোধ করছি।
যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্ণেল (অব) ফারুক খান, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, একেএম এনামুল হক শামীম, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ড. হাছান মাহমুদ, আফজাল হোসেন, শাম্মী আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন, আব্দুস সবুর, উপ দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন প্রমুখ।