বগুড়ায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে বগুড়া শহরের নারুলী উত্তর চেলোপাড়া এলাকায় গ্রিল কেটে বাসায় ডুকে চাচা-চাচী ও তাদের এক সন্তানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেছে ভাতিজা ও তার সহযোগীরা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এই ঘটনার পর পালানোর সময় জনতা ভাতিজা ও এক দুবৃত্তকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। আটক ২ জনসহ আহত ৫জনই বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল। আহতরা হলেন- বাসার মালিক চাচা এবিএম কামরুজ্জামান, তার স্ত্রী রানী বেগম ও তাদের ছেলে সৌখিন। গণধোাইয়ের পর আটক ভাতিজা সুলতান মাহমুদ শাওন ও তার বন্ধু শাকিল আহমেদ। সবাই শহরের নারুলী উত্তর চেলোপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
বেলা ১২টার দিকে শহরের নারুলী টাউন ফাঁড়ি পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, নারুলীতে দ্বিতল বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন এবিএম কামরুজ্জামান। সেই ভবনের গ্রিল কেটে ভাতিজা সুলতান মাহমুদ শাওন, শাকিল আহমেদসহ কয়েকজন ভেতরে প্রবেশ করেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি চাচা এবিএম কামরুজ্জামান, তার স্ত্রী ও ছেলেকে কোপাতে থাকে। এসময় তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে গেলে দুষ্কৃতীকারী পালিয়ে যেতে থাকে। স্থানীয় জনতা তাদের ধাওয়া করে দুজনকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়। আহত ৫জনই শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদের মধ্যে আটক ২ জন পুলিশ হেফাজতে। পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
স্মার্ট নিউজ টোয়েন্টিফোর