পুরনো ডেরায় বীরের বেশেই ফিরেছিলেন এরনেস্তো ভালভের্দে। লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগে অপরাজিত রেকর্ডটা ধরে রাখলেও সন্তুষ্টির হাসি নিয়ে ফিরতে পারল না বার্সেলোনা। ভালভের্দের সাবেক ক্লাব যে রুখে দিয়েছে কাতালানদের। অলিম্পিয়াকোসের মাঠে গোলশূন্য ড্র করেছে লিওনেল মেসির দল।
পরিসংখ্যান আর ম্যাচের ঘটনায় বোঝা যায় বার্সার আধিপত্য। ৭০ শতাংশ বল দখল, ১১টি শট নিয়ে ৬টিই লক্ষ্যে রাখা কিংবা ৬৫৩টি পাস। অলিম্পিয়াকোসের এই ম্যাচে অংশগ্রহণ বাদে কিছু ছিল না বলেই মনে হবে। কিন্তু কাজের কাজটা তারাই করেছে। বার্সেলোনার বিপক্ষে এই ড্রতে শেষ ষোলোয় ওঠার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে গ্রিসের ক্লাবটি।
সার্জি রবার্তো আর ডেনিস সুয়ারেজকে শুরুর একাদশে রেখেছিলেন কোচ। কিন্তু বার্সার পাসিংয়ের বিপক্ষে ধৈর্য হারায়নি অলিম্পিয়াকোস। সে জন্যই মেসির দুর্দান্ত ড্রিবলিংগুলোর পরও জায়গা না ছেড়ে আক্রমণ প্রতিহত করতে পেরেছে তারা। বিরতির আগে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন রবার্তো, মাঠে আসেন ফর্মে থাকা জেরার্ডো দেউলেফেউ। বিরতিতে যাওয়ার সময়ই একপেশে ম্যাচে বিরক্ত মনে হচ্ছিল মাঠের দর্শকদের।
বিরতির পরও সেই একই দৃশ্য। মেসি, সুয়ারেজদের মুহুর্মুহু আক্রমণের মুখে অবিচল দাঁড়িয়ে ছিলেন অলিম্পিয়াকোস ডিফেন্ডাররা। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল পোস্টও। ৬২ মিনিটে পাওলিনহোর বদলে মাঠে আসেন ইভান রাকিটিচ, ৭৯ মিনিটে ডেনিসের জায়গায় আন্দ্রে গোমেজ। কিছুতেই কিছু হলো না। ফুটবলে গোলপ্রেমী দর্শকদের একরাশ হতাশা উপহার দিল দুই দল।
এই ম্যাচে আরও একবার পুরোনো প্রশ্ন সামনে নিয়ে এল। রক্ষণাত্মক দলের বিপক্ষে বরাবরই কেন আটকে যায় বার্সেলোনা? দ্বিতীয় প্রশ্নটা আরও ভয়ংকর। মেসি গোল করলেই জেতে ব্লুগ্রানারা। কিন্তু তিনি তো আর সব ম্যাচ খেলবেন না। খেললেও প্রতি ম্যাচে গোল করাও তো অসম্ভব ব্যাপার। যে ম্যাচে মেসি নেই, সে ম্যাচে বার্সাকে জেতাবে কে? নিশ্চিতভাবেই ভালভের্দেও এসব প্রশ্নের উত্তর খুজছেন। শেষ ষোলোর পরও অতিমাত্রায় মেসি-নির্ভরতা না থাকলে ভুগতে হবে বার্সাকে।
স্মার্ট নিউজ টোয়েন্টিফোর