দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ নিউমোনিয়া। প্রতি হাজারে ৩৬১ জন শিশু এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বছরে মৃত্যু হচ্ছে ২৪ হাজার শিশুর। হাসপাতালে ৪৫ শতাংশ শিশুমৃত্যুর কারণ নিউমোনিয়া। সেবাগ্রহীতার ৪২ শতাংশের রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা যায়। দেশের অধিকাংশ হাসপাতালে এই অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। এমনকি রক্তে অক্সিজেন স্বল্পতা নির্ণয়েরও ব্যবস্থা নেই। ফলে প্রয়োজনের সময় অক্সিজেন স্বল্পতার ১৩ শতাংশের মৃত্যু ঘটে।
নিউমোনিয়া আক্রান্তের বড় একটি অংশের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (এনআইসিইউ) সেবা প্রয়োজন হয়। তবে দেশে চাহিদার তুলনায় এর স্বল্পতা রয়েছে। এ সংকট নিরসন না হলে নিউমোনিয়ায় আগামী এক দশকে বাংলাদেশে ১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি শিশুর মৃত্যু হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শিশুর অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন ইউনিসেফ।
এমন পরিস্থিতিতে অন্যান্য দেশের মতো আজ শনিবার বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস পালিত হচ্ছে। এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘নিউমোনিয়া সবাইকে আক্রান্ত করতে পারে’। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনসহ এ রোগটি নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু অক্সিজেন স্বল্পতায় ভুগছে কিনা পরীক্ষা করা হয় না বেশিরভাগ হাসপাতালে। রক্তে অক্সিজেনের স্বল্পতা নির্ণয়ে ঘাটতি এবং মেডিকেলে অক্সিজেনের অপ্রতুলতায় শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে। পালস অক্সিমিটার দিয়ে এটি মাপা যায়। কিন্তু শিশুদের পরিস্থিতি মাপার জন্য এই যন্ত্র পাওয়া দুস্কর।