ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় ডাকাতের গুলিতে দুই ব্যক্তি নিহত ও আরও দুজন আহত হয়েছেন। বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার মৃধাডাঙ্গী গ্রামে পরপর দুই বাড়িতে ডাকাতি শেষে পালানোর সময় তাদের আটকাতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-চরভদ্রাসনের আব্দুল গফুর মৃধা ডাংগীর আয়নাল ফকিরের ছেলে সাজ্জাদ মৃধা (৩০) ও একই গ্রামের জেহের মৃধার ছেলে সেন্টু মৃধা (২৮)। এদিকে, আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, চরভদ্রাসন সদর উপজেলার খালাসী ডাংগী গ্রামের সামছেল ফকিরের বাড়িতে ১৫/২০ জনের একটি ডাকাত দল বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ডাকাতি করতে আসে। ডাকাত দলটি ঘরে ঢুকে বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে ৪৫ ভরি স্বর্ণালংকার ডাকাতি করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আরেকটি বাড়িতে ডাকাতি করার সময় স্থানীয় গ্রামবাসীরা বিষয়টি টের পেয়ে তাদের আটকানোর চেষ্টা করে। এসময় ডাকাত দলের সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। পরে বেশকিছু গ্রামবাসী ডাকাতদলটির স্পিডবোর্ডটি আটকাতে গেলে স্পিডর্বোডে থাকা ডাকাতেরা গ্রামবাসীর উপর গুলি চালায়। এতে ৪ গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হন। আহতদের রাতেই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।
হাসপাতালে আনার পর চরভদ্রাসনের আব্দুল গফুর মৃধা ডাংগীর আয়নাল ফকিরের ছেলে সাজ্জাদ মৃধা ও একই গ্রামের জেহের মৃধার ছেলে সেন্টু মৃধা মারা যান। আশঙ্কাজনক থাকায় আলামিন ফকিরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বাড়ির মালিক সামছেল ফকির জানান, তার ছেলের বিয়ের দিন ধার্য ছিল আজ বৃহস্পতিবার। বিয়ের জন্য আনা স্বর্ণসহ মূল্যবান জিনিষপত্র ডাকাতেরা নিয়ে যায়। ডাকাত দলটি বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে সকলকে বেঁধে ফেলে। পরে তারা মূল্যবান জিনিষপত্র ডাকাতি করে নিয়ে যায়।
নিহত সেন্টুর ভাই লিটন মৃধা জানান, ডাকাত দলটি একটি স্পিডর্বোড নিয়ে ডাকাতির জন্য আসে। স্পিডবোর্ডটি তারা পদ্মা নদীতে রেখে গ্রামে ঢুকে একটি বিয়ে বাড়িতে ডাকাতি করে। পরে পুণরায় আরেকটি বাড়িতে ডাকাতির জন্য যায়। এসময় গ্রামবাসীরা টের পেয়ে ডাকাত দলটির স্পিডবোর্ড আটকানোর চেষ্টার সময় তারা গুলি ছুড়ে স্পিডর্বোড নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডাকাতদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
স্মার্ট নিউজ টোয়েন্টিফোর