যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে আসা ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের বৈঠক হয়েছে আজ মঙ্গলবার।
বৈঠকে দুই নেতা মিয়ানমারের সমস্যা এবং রোহিঙ্গা মুসলিম শরনার্থীদের বিষয়ে আলোচনা করেন।
আজ রাতে গ্রান্ড হায়াত হোটেলের নিজস্ব কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফিলিস্তীনের নেতার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, বৈঠকে মাহমুদ আব্বাস ফিলিস্তিনের সংকটের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে থাকার তার অঙ্গীকার পুণর্ব্যক্ত করেন।
প্রেস সচিব বলেন, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ‘এটি একটি দুর্যোগ। সর্বত্রই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মানবিক ভূমিকা প্রশংসিত হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, একজন মানুষ হিসেবে প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু মানবিক গুণাবলী রয়েছে।
তিনি বলেন, অস্থায়ী ব্যবস্থাপনায় বর্তমানে বাংলাদেশে ৭ লাখ মিয়ানমারের শরণার্থী বসবাস করছে। যদিও মিয়ানমারকে তাদের এসব নাগরিকদের ফেরত নিয়ে যেতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশ মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিকভাবে চাপ প্রয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
রোহিঙ্গা শরনার্থীদের পুণর্বাসনে এ সময় বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ তৎপরতার কথাও প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ আব্বাসকে জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, একজন রিফিউজির দুঃখ-কষ্ট তিনি বোঝেন। কারণ, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তিনি এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা রিফিউজি হিসেবে ৬ বছর বিদেশে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন।
আগত রোহিঙ্গা শরনার্থীদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য তার সরকার শরনার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী এবং পররাষ্ট্র সচিব মো: শহীদুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।