রোহিঙ্গাদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে সেনাবাহিনী অংশগ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বুধবার সকালে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দেয়া ত্রাণসামগ্রী গ্রহণের সময় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশার খোঁজ-খবর নেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে সেনাবাহিনীকে সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে দ্রুততার সঙ্গে এ কার্যক্রম এগিয়ে যাবে। প্রশাসন ও সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা মিলে এ কাজে অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর জন্য আলাদা কিছু কাজ ভাগ করে দেয়া হয়েছে।
আগে থেকেই সেনাবাহিনী ত্রাণ সরবরাহ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে সেনাবাহিনীকে যুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার)জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এক সমন্বয় সভা হবে জানিয়ে কাদের বলেন, সেখানে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতা ও পরিধি বণ্টন করা হবে। বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, আমর্ড পুলিশ ও গ্রাম পুলিশসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কাজের পরিধি ভাগ করে দেয়ার মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্থানীয় এমপি আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ও টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত ২৪ আগস্ট রাতে ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ক্যাম্পে হামলার পর দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের গ্রামে গ্রামে নতুন করে দমন অভিযানে নামে; সীমান্তে শুরু হয় রোহিঙ্গাদের ঢল।