নেইমারের সহায়তায় মিডফিল্ডার লুকাস পাকুয়েতার গোলে পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেছে স্বাগতিক ব্রাজিল। এদিন ৪-২-৩-১ ছকে খেলতে নেমে গোলকিপার এদেরসন মোরায়েসের সামনে দুই সেন্টারব্যাক হিসেবে ছিলেন পিএসজির সাবেক দুই সতীর্থ থিয়াগো সিলভা ও মার্কিনিওস। দুই ফুলব্যাক হিসেবে খেলেছেন জুভেন্টাসের দানিলো ও আতলেতিকো মাদ্রিদের রেনান লোদি। দুই হোল্ডিং মিডফিল্ডার ফ্রেড ও কাসেমিরোকে পেছনে রেখে আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডে খেলেছেন লুকাস পাকুয়েতা, দুই পাশে রিচার্লিসন ও এভেরতন সোয়ারেস। সবার সামনে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছেন নেইমার।
৩৫ মিনিটে পেরুর রক্ষণভাগের সঙ্গে একরকম ছেলেখেলা করেই ডিবক্সের বাঁ দিকে বিপজ্জনকভাবে ঢুকে যান নেইমার। তিনজন ডিফেন্ডার চেষ্টা করেও উদ্যমী নেইমারের পা থেকে বল কেড়ে নিতে পারেননি। উল্টো নেইমার কাটব্যাক করে বল পাঠিয়ে দেন মাঝখানে অপেক্ষা করতে থাকা মিডফিল্ডার পাকেতার দিকে ।নেইমারের দিকে এগিয়ে যাওয়া গোলকিপার পেদ্রো গালেসের ফাঁকা গোলপোস্টে বল ঠেলে দিতে সমস্যা হয়নি পাকেতার। বাঁ পায়ের দুর্দান্ত প্লেসিংয়ে স্কোরলাইন ১-০ করে ফেলেন তিনি।
বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণে মনোযোগ দেয় পেরু। প্রতি আক্রমণের পথ বেছে নেয় ব্রাজিল। ৫০তম মিনিটে সমতা ফেরানোর ভালো একটা সুযোগ পায় পেরু। কিন্তু এদেরসন ছিলেন পোস্টের নিচে বিশ্বস্ত দেয়াল হয়ে।৬১তম মিনিটে দূরপাল্লার শটে এদেরসনের পরীক্ষা নেন রাসিয়েল গার্সিয়া। ঝাঁপিয়ে পড়ে এবারও জাল অক্ষত রাখেন ম্যানচেস্টার সিটি গোলরক্ষক।৮১তম মিনিটে সমতা ফেরানোর আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া করে পেরু। ইয়োতুনের ফ্রি কিকে সবার উঁচুতে লাফিয়ে হেড করেন আলেকসান্দার কায়েন্স। কিন্তু বল ছিল না লক্ষ্যে। বেঁচে যায় ব্রাজিল।এ নিয়ে ২১ বার কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠল ব্রাজিল।
আগামী ১১ জুলাই মারাকানা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে আসরের ফাইনাল। সেদিন আর্জেন্টিনা অথবা কলম্বিয়াকে মোকাবিলা করবে ব্রাজিল।