১ আগস্ট থেকে খুলছে কলকারখানা। এ খবরে কর্মস্থলে ফিরতে আজ শনিবার সকাল থেকে মহাসড়কে শ্রমিকদের ঢল নেমেছে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে নারী-পুরুষ শ্রমিকদের ঢল লক্ষ্য করা গেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তারা ছোট ছোট যানে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
আজ শনিবার সকাল থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে কর্মস্থলে ফেরা শ্রমিকদের আনাগোনা বেড়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ভিড় বাড়তে থাকে।
কঠোর লকডাউনের মধ্যে রপ্তানিমুখী কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ঢল নেমেছে।শনিবার ভোর থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে চলাচলকারী প্রতিটি ফেরিতে মানুষের ভিড় উপচে পড়ছে।
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রুখতে ঈদুল আজহার পর ২৩ জুলাই থেকে সরকার সারা দেশে কঠোর লকডাউন আরোপ করে, যা চলবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত। ঈদের ছুটিতে যারা গ্রামে গিয়েছিলেন, তাদের ৫ আগস্টের পর ঢাকায় ফিরতে অনুরোধ করেছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। একই অনুরোধ জানিয়েছিল পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ।
কিন্তু সেই অনুরোধের তোয়াক্কা না করেই ঢাকামুখী হতে শুরু করেছেন তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকরা। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ঘাট থেকে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও সিএনজিতে জনপ্রতি ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের।
বাংলাবাজার ঘাট থেকে যেসব ফেরি ঘাটে আসছে তাতে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই পারাপার হচ্ছেন ঢাকামুখী যাত্রীরা।
শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) মো. জাকির হোসেন জানান, যাত্রীদের চাপে এই নৌপথে চলাচল করছে ১০টি ফেরি। দেখা যায়, মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, সিএনজি ও ভ্যানগাড়িতে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীরা চলাচল করছেন। শ্রমিকদের অতিরিক্ত চাপে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। মহাসড়কের স্কয়ার মাস্টারবাড়ী, জৈনাবাজার, নয়নপুর, মাওনা চৌরাস্তা, গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী, বাঘের বাজার, রাজেন্দ্রপুর, গাজীপুর চৌরাস্তা ও টঙ্গী এলাকার শ্রমিকরা দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছে।