জাতীয় পরামর্শক কমিটির পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা বিধিনিষেধ আরও কঠোর করার পরামর্শ দিলেও ‘ঈদ উদযাপন ও দরিদ্র মানুষের রোজগারের স্বার্থে’ লক ডাউন শিথীল করেছে সরকার।বুধবার কঠোর লকডাউনের শেষ দিনে বিধিনিষেধ শুধু কাগজেই ছিল। ঢাকাসহ দেশের প্রায় সর্বত্রই যানবাহন ও জনচলাচল ছিল স্বাভাবিক ও নির্বিঘ্ন ।গণপরিবহন বাদে সব ধরনের গাড়ি চলেছে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের ট্রাফিক পয়েন্টগুলোতে যানজটও ছিল আগের কয়েক দিনের মতো। রাজধানীর বাইরে মহাসড়কেও ছিল যানজট। মহানগর ও জেলা শহরগুলোতে মানুষের চলাচল স্বাভাবিক সময়ের মতোই দেখা গেছে। ফেরিঘাটে ছিল নদী পারাপারের ভিড়।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে টানা ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শিথিল হয়েছে। আসনের অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের শর্তে বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে খোলা হচ্ছে শপিংমল, মার্কেট।২৩ জুলাই ভোর থেকে আবার ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হবে। তাতে জরুরি সেবা বাদে শিল্পকারখানাসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
অর্ধেক যাত্রী নিয়ে নৌ-রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে ২৩ দিন বন্ধ থাকার পর বুধবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাত থেকেই রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালসহ সারাদেশে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল শুরু করেছে। বুধবার রাজধানীর তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর, মিরপুর রোড, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, মহাখালী, ফার্মগেট, পান্থপথ, মগবাজার, পল্টন ও গুলিস্তান এলাকা ঘুরে সড়কে রিকশা, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের বেশ চাপ দেখা গেছে। পণ্যবাহী গাড়ির চলাচলও ছিল বেশি। বড় মার্কেট, বিপণিবিতান না খুললেও রাস্তার পাশে, অলিগতিতে প্রায় সব দোকানপাটই খোলা ছিল।
বুধবার সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) নির্দেশনায় জানিয়েছে, গণপরিবহনে আসনের অর্ধেকের বেশি যাত্রী তোলা যাবে না। নির্দিষ্ট স্থানে সারিবদ্ধভাবে যাত্রী ওঠানামা করতে হবে। বাসে চালক, যাত্রীসহ সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। যাত্রার আগে ও পরে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করতে হবে। ৬০ শতাংশের বেশি বাড়তি ভাড়া নেওয়া যাবে না।
বুধবার রাজধানীর গাবতলী ও মহাখালী টার্মিনালে দেখা গেছে, ২৩ দিন বন্ধ থাকার পর দূরপাল্লার বাস চালুর প্রস্তুতি চলছে। গাড়ি ধোয়ামোছা ও মেরামতের কাজ চলছে।