খালেদা জিয়া সড়কপথে কক্সবাজার যাওয়ার নাম করে যদি কোনো ধরনের উসকানি দেন বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন, তাহলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। এ কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে উত্তর জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে সড়কপথে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাচ্ছেন। তিনি এত দিন অসুস্থতার নাম করে লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। দেশে ফিরে এখন বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে সড়কপথে কক্সবাজার যাচ্ছেন। একজন অসুস্থ মানুষ কখনো ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সড়কপথে যাওয়ার সামর্থ্য রাখেন না। এর থেকে প্রতীয়মান হয় তিনি অসুস্থ নন।
সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বড় বড় মন্ত্রী, রাষ্ট্রপ্রধানের স্ত্রীরাও রোহিঙ্গাদের দেখতে বাংলাদেশে এসেছেন। খালেদা জিয়া চিকিৎসার নামে এত দিন যে ব্রিটেনে ছিলেন, সেই ব্রিটেনের মন্ত্রীও রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখতে বাংলাদেশে এসেছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া আসার সময় পাননি। এখন দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করার উসকানি দিতে সড়কপথে কক্সবাজার যাচ্ছেন।
সড়কপথে খালেদা জিয়ার কক্সবাজার যাত্রাপথে সরকার সব রকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এখন বিরোধীদলীয় নেত্রী বা এমপি নন। তবু সরকার তাঁর প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সার্কিট হাউসে তাঁর থাকার জন্য রুম বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যখন মন্ত্রীর পদমর্যাদা নিয়ে বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে চট্টগ্রাম এসেছিলেন, তখন বিএনপি সরকার শেখ হাসিনাকে সার্কিট হাউসে থাকার জন্য কক্ষ দেয়নি। বাধ্য হয়ে শেখ হাসিনাকে আগ্রাবাদ হোটেলে রুম ভাড়া করে থাকতে হয়েছিল।
রোহিঙ্গাদের প্রতি লোক দেখানো মায়াকান্না দেখাতে খালেদা জিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের যেভাবে মিয়ানমারে পুড়িয়ে মারা হয়েছে, ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এ দেশে পেট্রোল বোমার সন্ত্রাস এবং আন্দোলনের নামে মানুষকে পুড়িয়ে মারার সঙ্গে এর সাদৃশ্য রয়েছে। পেট্রোল বোমা সন্ত্রাসের সময় দেশের জনগণের জন্য খালেদা জিয়ার কান্না আসেনি। আসলে তিনি মানবিকতার জন্য কান্না করেন না। তিনি নিজের স্বার্থের জন্য, সম্পত্তির জন্য কান্না করেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বখতেয়ার সাঈদ ইরানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়বের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুছ গণি চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, আকতার হোসেন খান প্রমুখ।