আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, রোহিঙ্গাদের দেখতে বাংলাদেশে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এসেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসেছেন, ইন্দোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসেছেন। কিন্তু কোথায় খালেদা জিয়া? মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সেখানে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়েছে কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া নিখোঁজ।
আজ শনিবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতার আলোকেই মানবিক কারণে আমরা বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অশ্রয় দিচ্ছি।
অনুষ্ঠানে এস এম জাহাঙ্গীরের লেখা মুক্তধারা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর মর্মকথা ২ খন্ড, আর্থ সামাজিক উন্নয়নে জ্বালানী খাতের ভূমিকা: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ, সমসাময়িক সাধারণ জ্ঞান ও চলমান অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য এই চারটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
সংস্কৃতি সচিব ইব্রাহিম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, অর্থপ্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
গণহত্যা বন্ধ করতে আবারও মায়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা ১৬ কোটি মানুষের দেশ। অতি ঘনবসতিপূর্ণ। কিন্তু আমাদের হৃদয় আছে। আমাদের মন আছে। এসব দেখে আমাদের মনে একাত্তরের স্মৃতি ভেসে উঠে। কীভাবে আমাদের মা বোন সেদিন ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। সুতরাং আমাদের অভিজ্ঞতা আছে। সে অভিজ্ঞতার আলোকেই মানবিক দিক বিবেচনা করে এদেরকে আমরা আজকের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছি। আমরা মনে করি অনতি বিলম্বে সেখানে গণহত্যা বন্ধ করা উচিত।
আওয়ামী লীগের প্রবীন এই নেতা বলেন, লন্ডনের একটি নাম করা টেলিভিশন ‘মাদার অব হিউমেনিটি’ খেতাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভূষিত করে নিউজ প্রচার করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে একটি দল আছে যারা শেখ হাসিনাকে অং সান সূচির সঙ্গে তুলনা করে বক্তব্য দাঁড় করিয়েছে। চিন্তা করে দেখেন ওরা কত নোংরা। এদের চিন্তা চেতনা কত নিচু।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের কিছু লোক আছে যাদের দল নাই, দলহীন তারা সুযোগ পেলে সরকারে বিপক্ষে এবং বিএনপির পক্ষে দাঁড়ায়। তারা বলে আমাদের কুটনৈতিক তৎপরতা তেমন না।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, কূটনৈতিক তৎপরতা না থাকলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মায়ানমারের নিন্দা করলো কিভাবে? ইউরোপিয় ইউনিয়ন বলেছে, তারা (মায়ানমার) একদিকে বাণিজ্যিক সুবিধা নিবে অন্যদিকে গণহত্যা করবে তা হতে পারে না। এই মায়ানমারের ঘটনাকে আন্তর্জাতিক বিশ্ব এখন গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
16/09/2017