প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার শূন্যের কোঠায় আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। জনসাধারণের স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস ও করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে সিগারেট বাদ দিতে ‘দ্য কন্ট্রোল অব এসেনশিয়াল কমোডিটিজি (এমেনডেন্ট) বিল, ২০২১ আনা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে গত ২ নভেম্বর বৈঠক করে একটি উপ-কমিটি গঠন করেছে বলে জানা গেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা অপরিহার্য পণ্যের তালিকা থেকে বিড়ি-সিগারেট বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি কার্যকর করতে পারলে দেশ ও জাতির বড় উপকার হতো। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল হতো। কিন্তু অপরিহার্য পণ্যের তালিকা থেকে বিড়ি-সিগারেট বাদ যাবে কিনা তাতে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছ ।
ধূমপানে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। ধূমপানের জন্য ব্যবহৃত সিগারেটে মারাত্মক রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। নিকোটিন এদের একটি। গবেষণায় দেখা গেছে, দুটি সিগারেটে যে পরিমাণ নিকোটিন রয়েছে তা কোনো সুস্থ মানুষের দেহে পুশ করা হলে তার মৃত্যু হতে পারে। ধূমপানের কারণে ফুসফুসে ক্যান্সার, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ডিজিজসহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তামাককে করোনাভাইরাস সংক্রমণে সহায়ক চিহ্নিত করে এর ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে বলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি জানিয়েছে, অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের করোনাভাইরাস সংক্রমণে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।