ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে আর যেন ইতিহাস বিকৃতির সুযোগ না পায় সেজন্য দেশের মানুষকে জাগ্রত হতে হবে। ইতিহাস যতই মুছতে চেষ্টা করুন, তা সম্ভব নয়। ইতিহাস সত্যকেই তুলে ধরে।আজ শনিবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যে’র স্বীকৃতি পাওয়ায় নাগরিক কমিটির ব্যানারে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
৭ মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিলের স্বীকৃতি দেওয়ায় ইউনেস্কোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর কোনো ভাষণ এত দিন, এত ঘণ্টা প্রচার হয়নি। ওই ভাষণে যতই বাধা এসেছে মানুষ ততই জাগ্রত হয়েছে।শেখ হাসিনা বলেন, তখন ৫৬ শতাংশ মানুষ ছিল পূর্ব পাকিস্তানে। কিন্তু বাঙালির কোনো অধিকার ছিল না। পশ্চিম পাকিস্তানিরা সম্পূর্ণ শোষণ করেছে। তারা আমাদের মাতৃভাষার অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল। তখন বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সবাইকে উদ্ধুদ্ধ করে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেন।৭ই মার্চের ভাষণের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা সেদিন ভাষণ দিয়েছিলেন লাখো মানুষ এসেছিল এখানে (রেসকোর্স ময়দানে)। বাঁশের লাঠি হাতে নিয়ে এখানে এসেছিল তারা।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, যারা এ ভাষণ বাজাতে বাধা দিয়েছে, আজ যখন ইউনেস্কো এই ভাষণকে ঐতিহাসিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে তখন তাদের কি লজ্জা হয় না? জানি না এদের লজ্জা-শরম আছে কিনা? কারণ এরা তো পাকিস্তানি বাহিনীর প্রেতাত্মা।সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আবদুল আলীম চৌধুরীর কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী।
স্মার্ট নিউজ টোয়েন্টিফোর