দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ আজ বলেছেন, খাদ্য কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অবৈধভাবে খাদ্য মজুতের অভিযোগ তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুদক।
রাঙ্গামাটি জেলায় অনুষ্ঠিত এক আলোচনাসভায় তিনি বলেন, খাদ্য বিভাগের একশ্রেণীর কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশে বেশকিছু মজুতদার অবৈধভাবে খাদ্য মজুতের অভিযোগ পেয়েছি এবং তা প্রমাণ করার জন্য আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, মজুতদাররা অবৈধভাবে খাদ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে মানুষের কাছ থেকে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ইকবাল মাহমুদ বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দৃষ্টান্তমূলক আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
‘দুর্নীতি-মুক্ত সরকারি সেবাসমূহ : দুর্নীতির অভিযোগের ধরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল মান্নান।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তৃতা করেন-দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব শামসুল আরেফিন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, প্রত্যেক নাগরিকের উচিৎ আইন মেনে চলা। কারণ, কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। জেলায় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, স্থানীয় জনগণের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার কথা, কিন্তু আপনাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
এর আগে সকাল ১০ টায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে রাঙামাটিতে নব নির্মিত কমিশনের (সমন্বিত জেলা কার্যালয়) নিজস্ব চারতলা ভবনের উদ্বোধন করেন।