আগামী জাতীয় সংসদ নিবাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য বিকল্পধারা বাংলাদেশ ৯ম জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল নিয়ে নির্বাচনকালিন অন্তর্বতী সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। একই সাথে নির্বাচনের একমাস আগে সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ১৩ দফা লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সাথে বিকল্পধারা বাংলাদেশে-এর সংলাপ অনুষ্ঠানে দলটির পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব দেয়া হয়। দলের সভাপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বিকল্পধারা দাবী করেছে, নির্বাচনের ১ মাস পূর্বে এবং ভোট শেষে ১৫ দিন পর্যন্ত শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং বিশেষ করে ভোটের দিন ভোটার ও প্রার্থীদের নিরাপত্তা বিধান করার দায়িত্বে সেনাবাহিনীকে নিয়োজিত রাখতে হবে।
বৈঠকে বিকল্পধারা বাংলাদেশ আশা করছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারগণ অবশ্যই তাদের উপর জাতির যে প্রত্যাশা তা পূরণে নিরপেক্ষ থাকবেন। দলের নেতারা দাবী করেছেন, ভোটার তালিকা নির্ভুল এবং হালনাগাদ করতে হবে। প্রয়োজনে সামরিক বাহিনীর সাহায্য নিতে হবে।
বিকল্প ধারার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রচলিত বিধানে জেলা প্রশাসকগণ পদাধিকার বলে স্ব স্ব জেলায় রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কিন্তু অধিকাংশ জেলা প্রশাসকই রাজনৈতিক বিবেচনায় নিযুক্ত হয়ে থাকেন এবং তারা রাজনৈতিক প্রভাব এর কারণে নিরপেক্ষ থাকতে পারেনা। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর আমলে জেলা প্রশাসকগণ নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে আসেন, তদ্রুপ জেলা প্রশাসকগণ নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচন কমিশনের অধীনে দায়িত্ব পালন করবেন।
বিকল্পধারা দাবী করেছে, প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিং অফিসারগণ যে জেলায় ভোটার হবেন তাকে সেই জেলার দায়িত্ব দেওয়া যাবে না।
পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকারের স্বার্থে ব্যালট পেপারে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নামের পরেও ‘না ভোট’- এর বিধান থাকতে হবে। সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্তির চেয়ে না ভোটের সংখ্যা বেশি হলে সেই ক্ষেত্রে সেই আসনে ৯০ দিনের মধ্যে পূন: ভোটের ব্যবস্থা রাখার প্রস্তাব করেছে দলটি।
এ ছাড়া, নির্বাচনী প্রচারণায় সব প্রার্থীর সমান সুযোগ দেয়া, সরকারি এবং প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরর কোনো প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ গ্রহণ নিষিদ্ধ করা এবং জনসভা, মিছিল ইত্যাদি সন্ত্রামুক্ত তাকা নিশ্চিত করার প্রস্তাব দিয়েছে বিকল্পধারা।
প্রত্যেক নির্বাচনী কেন্দ্রে যারা দায়িত্ব পালন করবেন: অর্থাৎ ক) ইউএনও খ) ওসি গ) প্রিসাইডিং অফিসারবৃন্দ ঘ) দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ, ঙ) সেনাবাহিনীর সদস্যবৃন্দকে জনসমক্ষে প্রকাশ্যে নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থ ছুঁয়ে নিরপেক্ষতা ও আন্তরিকতার শপথ নেবারও প্রস্তাব দিয়েছে । আজ বিকাল ৩ টায় ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে সংলাপে বসে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনী রোড ম্যাপ অনুযায়ী গত ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন।